সন্তানকে সুন্দরভাবে লালনপালন করা মা-
বাবার অন্যতম দায়িত্ব। আর শিশুবেলায়
সন্তানকে যা বলা হয় তা তাদের মনে গেঁথে
যায়। তাই অনেক সময়ই সন্তানের সঙ্গে কথা
বলতে হবে হিসেব করে।
শিশুবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে সন্তানকে কী
ধরনের কথা বলা উচিত নয় তার বিষয়ে উল্লেখ
করা হয়।
কাঁদতে মানা: শিশুরা ছোটখাটো বিষয়ে কাঁদবে
এটাই স্বাভাবিক। চকলেট না পেলে বা পেন্সিল
খুঁজে না পেলে সহজাত ভাবেই শিশুরা কাঁদে।
অনেক সময় বাবা-মা এই ছোটখাটো কারণে
সন্তানের কান্না খুব একটা পাত্তা দেন না।
আবার অনেক ক্ষেত্রে জোর করে থামিয়ে দেন।
এ ধরনের ব্যবহার সন্তানের মনে বিরূপ প্রভাব
ফেলতে পারে। তাই মাঝে মধ্যে তাদের কান্নার
মূল্যায়ন করুন। এটিও তাদের বেড়ে ওঠার একটি
অংশ।
তুলনা করবেন না: বড় ভাই বা বোন অথবা
পাশের বাড়ির সমবয়সি শিশুদের সঙ্গে
সন্তানের তুলনা করবেন না। এই বিষয়গুলো
সন্তানের জন্য মানসিক চাপের কারণ হয়ে
দাঁড়াতে পারে। বরং তাদের যেকোনো কাজ
আরও ভালোভাবে করতে উৎসাহী করে তুলুন।
কোনো বিশেষণ দেবেন না: তুমি অনেক অলস
বা বাচ্চাটি লাজুক এমন বিশেষণ শিশুদের
সামনে ব্যবহার না করাই ভালো। এতে
সন্তানদের মধ্যে এই বিষয়গুলো গেঁথে বসতে
পারে।
ভয় দেখাবেন না: সন্তান কোনো দুষ্টামি
করলে মায়েরা অনেক সময় নানান ভাবে ভয়
দেখান। যেমন- ‘দাঁড়াও বাবাকে ঘরে আসতে দেও’
‘তোমার টিচারের কাছে বলে দিবো’ ইত্যাদি।
এই ধরনের বিষয়গুলো ওই নির্দিষ্ট মানুষের
প্রতি ভীতির জন্ম দেয়। যা পরে বড় হয়ে
দাঁড়াতে পারে। তাই এ ধরনের ভয় না দেখিয়ে
অন্যভাবে শাষণ করার চেষ্টা করুন।
আমি তোমাকে আগেই বলেছিলাম: আপনার
শিশু সন্তান একজন প্রাপ্তবয়স্কের মতো
সিদ্ধান্ত নিতে পারবে সেটি আশা করা
বোকামি। তাই সে যদি কোনো ভুল করে সেটা
নিয়ে তাকে বারবার কথা না শুনিয়ে বরং সেখান
থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে দিন। তাছাড়া ভুল
করলে তাকে বকা না দিয়ে বরং পরেরবার কাজটি
সঠিকভাবে করতে আপনি তাকে সাহায্য করবেন
এমন প্রতিশ্রুতি দিন।