জার্মানির একটি স্কুলের কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের
কাছে পাঠানো এক লিখিত নির্দেশনায় মুসলিম
শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে নামাজ পড়ায় বাধা
দিতে বলেছে৷ ইসলামবিরোধী দল এএফডি এই
সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে৷ তবে বিতর্কও
চলছে৷
ভুপার্টাল শহরের ইওহানেস রাও গিমনাজিয়ুমের
ওই নির্দেশনায় লেখা হয়েছে, গত কয়েক
সপ্তাহে মুসলিম শিক্ষার্থীদের স্কুল ভবনে
নামাজ পড়তে দেখা গেছে, যা অন্যদের কাছে
দৃশ্যমান ছিল৷ তারা টয়লেটে ধর্মীয় রীতি
অনুযায়ী ধোয়াধুয়ি করেছে, প্রার্থনার মাদুর
পেতেছে এবং নির্দিষ্ট কিছু অঙ্গভঙ্গি করেছে৷
নির্দেশনায় লেখা আছে, এটি অনুমোদিত নয় ৷
যারা নামাজ পড়ে, স্কুল কর্তৃপক্ষকে তাদের
নাম জানাতে বলা হয়েছে৷ শিক্ষার্থীদের এই
নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ আচরণ দিয়ে
বলতে বলা হয় নির্দেশনায়৷
নির্দেশনাটি ফেসবুকে পোস্ট হওয়ার পর
অনেকে এর সমালোচনা করেছেন৷ একজন
জানতে চেয়েছেন, কেন তারা প্রার্থনা করতে
পারবে না?
এমনকি আমাদের রাখালকন্যা প্রায়ই বাইবেল
থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে থাকেন,স্পষ্টতই জার্মান
চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে নির্দেশ করে
এমন মন্তব্য করেন ওই ফেসবুক ব্যবহারকারী৷
আরেকজন জার্মান সংবিধানের চার নম্বর ধারা
(ধর্ম ও দার্শনিক মতবাদ প্রকাশের অধিকার)
উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘‘ধর্মীয় স্বাধীনতা
সম্পর্কে যেন কী বলা ছিল? জার্মান
সংবিধানের চার নম্বর ধারা?”
Home »
Islamic Story amp; Hadis
» জার্মান স্কুলে প্রকাশ্যে নামাজ পড়ায় নিষেধাজ্ঞা!