Home »
যৌন বিষয়ক টিপস
» [লাইফ স্টাইল] প্রেম অথবা দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ত্যাগ করবেন যে অভ্যাসটি
[লাইফ স্টাইল] প্রেম অথবা দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ত্যাগ করবেন যে অভ্যাসটি
প্রেম হোক বা দাম্পত্য, পারিবারিক বিয়ে হক বা প্রেমের, সবকিছুই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটিই ব্যাপার, আর সেটা হলো জীবনসঙ্গীর সাথে আপনার সম্পর্ক!সম্পর্ক হবার কিছুদিন পরই কেমন যেন ভালোবাসা ফিকে হয়ে আসে। মনে হয় দুজনের মাঝে আগের মত সেই তীব্র আকর্ষণটা যেন আর নেই। শুরু হয় ঝগড়া, মন কষাকষি। আর বাড়তে থাকে আপনার বিষণ্ণতা। এই সব কিছু থেকে দূরে গিয়ে সর্বদা সুন্দর রাখতে চান আপনাদের ভালোবাসার সম্পর্ক? হ্যাঁ, সেটা সম্ভব। আর এর জন্য আপনাকে দূর করতে হবে কেবল একটি অভ্যাস! কী সেটা? চলুন জেনে নিই।অভ্যাসটি হচ্ছে-জীবনসঙ্গীকে কারণে-কারণে দোষারোপ করা।যদি নিজের সম্পর্কটি সবসময় সুন্দর রাখতে চান এবং এটা চান যে সঙ্গীর মত চিরকাল আপনার কাছেই বাঁধা থাকবে, তাহলে অতি অবশ্যই তালে দোষারোপ করার অভ্যাস ত্যাগ করুন। আমরা মানুষেরা সবচাইতে বেশী যে কাজটিকে অপছন্দ করি সেটা হচ্ছে কেউ আমাদের দোষারোপ করা। আপনি নিজেই ভেবে দেখুন, আপনাকে কেউ দোষারোপ করলে কি ভালো লাগে? কারণে হক বা অকারণে, দোষারোপ পেতে কেউই ভালোবাসেন না। বিশেষ করে নিজের ভালোবাসার মানুষটির কাছ থেকে তো একদমই নয়। এই পৃথিবীর মানুষ তো দোষারোপ করবেই, কিন্তু জীবনসঙ্গীও যদিএকই কাজ করেন তাহলে শেষ আশ্রয় বলতে আর কিছু থাকে না। তাই বলাই বাহুল্য যে একসময় বিতৃষ্ণা কাজ করতে শুরু করে, ক্রমশ বাড়তে শুরু করে মানসিক দূরত্ব।কী করবেন?যদিও আমাদের উচিত প্রেম বা দাম্পত্য সম্পর্ক থেকে পরস্পরকে দোষারোপের অভ্যাস সবচাইতে দূরে রাখে, কিন্তু দেখা যায় ভালোবাসার সম্পর্কেই এই জিনিসটার বিস্তার সবচাইতে বেশী। পরস্পরকে দোষ দেয়ার প্রবণতা মানুষের স্বভাবজাত। তাই এই জিনিসটা থেকে বেরিয়ে আসতে একটু চেষ্টা করতেই হবে।কখনোই বিনা কারণে সঙ্গীকে দোষ দেবেন না। ভুল করেও না। আর যদি কখনো ভুল করে দিয়েও ফেলেন, নিজের ভুল বুঝতে পারা মাত্র আন্তরিক ক্ষমা চাইবেন। অতি অবশ্যই ক্ষমা চাইবেন।আর যদি তিনি কোন দোষ দিয়েও থাকেন, তবেও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবেন না। মনে রাখবেন, পৃথিবীতে আপনি তাঁর সবচাইতে আপন মানুষ। দোষ না দিয়ে তাঁকে বুঝিয়ে বলুন যে কাজটি তিনি ভালো করেন নি, কেন ভালো করেন নি সেটাও বুঝিয়ে বলুন। তবে অবশ্যই আদর করে।দোষারোপের বিষ থেকে মুক্ত রাখুন সম্পর্ক, ভরিয়ে তুলুন মধুরতায়।