রাসুল সা. বলেছেন, ‘এক জুমা থেকে অপর জুমা
উভয়ের মাঝের (গোনাহের জন্য) কাফ্ফারা হয়ে
যায়, যদি কবিরা গোনাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত না
হয়ে থাকে। মুসলিম রাসুল সা. অন্য হাদিসে
বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন ভালো করে
গোসল করে সকাল সকাল মসজিদে আসবে এবং
ইমামের নিকটবর্তী হবে এবং মনোযোগ দিয়ে
খুতবা শুনবে ও চুপ থাকবে তার জুমার সালাতে
আসার প্রত্যেক পদক্ষেপে এক বছরের নামাজ ও
রোজা পালনের সওয়াব হবে।’ তিরমিজি
জুমার দিনের কিছু আমল
১। জুমার দিন গোসল করা। যাদের ওপর ফরজ
তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসুল সা.
ওয়াজিব বলেছেন।
২। জুমার নামাজের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৩। মিস্ওয়াক করা।
৪। উত্তম পোশাক পরিধান করে সাধ্যমতো
সাজসজ্জা করা।
৫। মুসল্লিদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা।
৬। মনোযোগ সহকারে খুৎবা শোনা এবং খুৎবা
চলাকালীন চুপ থাকা- এটা ওয়াজিব।
৭। আগে থেকেই মসজিদে যাওয়া।
৮। সম্ভব হলে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া।
৯। জুমার দিন ও জুমার রাতে বেশি বেশি দরুদ
পাঠ করা।
১০। নিজের সবকিছু চেয়ে এ দিন বেশি বেশি
দোয়া করা।
১১। কেউ মসজিদে কথা বললে ‘চুপ করুন‘
এতোটুকুও না বলা।
১২। মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ-রসুন
না খাওয়া ও ধূমপান না করা।
১৩। খুৎবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা।
কোনো ব্যক্তি যদি জান্নাতে প্রবেশের
উপযুক্ত হয়, কিন্তু ইচ্ছা করেই জুমার নামাজে
ইমাম থেকে দূরে বসে, তবে সে দেরিতে জান্নাতে
প্রবেশ করবে।
১৪। এতোটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনো
কিছু না পড়া, যাতে অন্যের ইবাদত ক্ষতিগ্রস্ত
হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে।