প্রশ্নঃ ভাবির সাথে সেক্স করা এটা কি ঠিক?

প্রশ্নঃভাবির সাথে সেক্স করা এটা কি ঠিক?উত্তরঃএটা ঠিক নাকী অন্যায় সেটা আপনি নিজেই বুঝতে পারতেছেন। ভাবির সাথে সেক্স করা ঠিক হবে তো দূরের কথা, তাঁর সাথে আপনার পর্দা করাই ফরয। এই পর্দার বিধান লঙ্ঘণই করাই তো কবিরা গুনাহ। তাহলে ভাবীর সাথে সেক্স করা তাঁর চেয়েও অধিক খারাপ কিছু নয় মনে করেন কি? আপনি যে মেয়েটি নিয়ে এই খারাপ চিন্তা ফিকির করেছেন, একদিনআপনিও বিয়ে করবেন। আপনার ছেলে-মেয়েও হবে। কেউ যদি আপনার মেয়ের সাথে অসামাজিক ভাবে যৌনক্রিয়া লিপ্ত হয় তাহলে নেতিবান বাবা হিসাবে আপনার কাছে কেমন লাগবে? নিশ্চয় খারাপ লাগবে? আপনি বলছেন ভাবীর সাথে সেক্স করা করা কি ঠিক? এখানে আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি আপনার ভাবী কিভাবে হলেন? নিশ্চয় বড় ভাইয়ের বউ হবার কারণেই তিনি আপনার ভাবী হয়েছেন। এখন আপনি যদি তাঁর সাথে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হন তাহলে কি আপনার বড় ভাইয়ের প্রতি অসম্মান জনক আচরণ হলো না? আপনি যদি বিয়ে করেন এবং আপনার ছোট যদি আরেকটি ভাই থাকে, আর সে ভাই যদি আপনার বউয়ের সাথে অসামাজিকভাবে যৌনক্রিয়া লিপ্ত হয় তাহলে আপনার কাছে কেমন লাগবে? এটা কি আপনি সহ্য করতে পারবেন? নিশ্চয় নয়। কোন পুরুষ ও কোন নারীই এটিকে সহজে মেনে নিতে পারে না। ভাই, একটি কথা মনে রাখবেন, আপনি যেরকম মানুষের সাথে করবেন, আপনি সেরকমের আচরনই তাদের কাছ থেকে পাবেন। আপনি অন্যের মেয়ের প্রতি যেরকম আচরন করবেন, আপনি জীবন সঙ্গী হিসেবে সেরকম মেয়েই পাবেন। এই প্রশ্ন পড়ে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, মানুষ এরকম চিন্তা-ফিকির করে কিভাবে? এ প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, চটি গল্পের প্রভাব। আমাদের সমাজের একদল নর্দামের কীট, নঘণ্য, জঘন্য ব্যক্তি আছে না যারা মা-ছেলে, ভাই বোন, দেবর ভাবী, বাবা মেয়ের মতো পবিত্র সম্পর্কে নিয়ে যৌনতা পূর্ণ চটি গল্প লেখে। আর এই সব বস্তাপচা গল্প পড়ার জন্য মানুষ ইন্টারনেটে সার্চ করে থাকে। আমার মাথায় আসে না, মানুষের রুচিবোধ এতো নিম্ন মানের হয় কি করে ? আসলেই এরা যা করে শয়তান তা চিন্তাও করে না।বাংলাদেশে কিছু নাম করা জঘন্য ব্যক্তি আছে যারা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। তাদের মধ্যে একজনের নামহচ্ছে হুমায়ুন আযাদ আরেক জন্য হচ্ছে তসলিমা নাসরিন। হুমায়ূন আযাদ তাঁর এক বইতে লিখেছে, “আমার চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে, কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমার হাত-পা বাঁধা”। চিন্তা করতে পারেন, কিরকম মানের নারী খাদক ও রুচিহীন বিকৃত ব্রেইনের মানুষ হলে নিজের ওরস জাতক মেয়েকে নিয়ে যৌনাচারের কথা বলতে পারে। অপর দিকে তসলিমা নাসরিনের স্বভাব আর কুত্তাকুত্তি স্বভাবের মাঝে কোন তফাৎ নেয়। কুত্তির চাহিদা যেমন, তসলিমার মনের চাহিদাও সেরকমের। তসলিমা নাসরিনও তাঁর একটি বইতে লিখেছে, “পেট আমার, আমার পেটে কোন পুরুষের সন্তান নেবো সেটা আমার বিষয়”। তাঁর কথার ভিতরের কথা হচ্ছে, যোনি আমার। আমার যোনির ভিতরের কোন কোন পুরুষের পুরুষাঙ্গ নিবো সেটা আমার বিষয়। এ কথা গুলো এখানে এজন্য তুলে আনলাম যে, আমাদের সমাজে একদল পুরুষ আছে যারা পতিতা পল্লীতে গিয়ে নিজের কামভাব নিবারণ করে। তারা মনে করে, পুরুষাঙ্গ আমার, আমার পুরুষাঙ্গ কোন কোন নারীর যোনির ভিতরে প্রবেশ করাবো সেটা আমার বিষয়। আপনি যাতে এটি না মনে করেন সেটাই আমরা আশা করবো। যদি এটি আপনিও মনে করেন, তাহলে আপনার ওকুকুরের ও তসলিমা নাসরিনের মাঝে কোন তফাৎ থাকবে না।এখন আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, যুবকদেরমনে কেন এরকম ঘৃণ্য প্রশ্ন জাগরত হচ্ছে? তাঁরা কেনো ভাবীর সাথে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতে চাচ্ছে? এর উত্তর হচ্ছে, ভারতীয় দুশ্চরিত্রা অভিনয় শিল্পী ও পরিচালকদের তৈরী কৃত আর্ট সিনেমা গুলো। তাঁরা দেবর ভাবীর সাথে যৌন সম্পর্কের গল্প দিয়ে কুরুচিপূর্ণ সিনেমা তৈরি করে বাজারে ছাড়ছে উঠতি বয়সী যুবক-যুবতিদেরকে নষ্ট করার জন্য।এসব যারা দেখে তাঁরা এসব সম্পর্কে জড়িয়ে যাবে। যাদের অন্তরে বোধ শক্তি আছে তাদের মনে এসব প্রশ্ন উদয়িত হবে। তাঁরা চিন্তা ভাবনা করবে সে যা দেখছে তা আসলে কতটুকু যুক্তি সঙ্গত।সে হিসেবে প্রশ্ন কর্তা ধন্যবাদ পাবার যোগ্য।

Total Pageviews