যে ৫ যৌন সমস্যা কোন সমস্যাই নয়!

যৌনজীবনে সমস্যা নিয়ে অনেকে পুরুষই খুব চিন্তিত থাকেন। লজ্জায় অনেকেই চিকিৎসাও করাতে চান না। যেমনটা নারী পাঠকগণ আমাদেরকে জানিয়ে থাকেন। নারী পাঠকদের মধ্যে অনেকেই তাদের স্বামীর যৌন সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে সাহায্য চেয়ে থাকেন, আমরা তাদেরকে ডাক্তারের সহায়তা নিতে বললে তাঁরা জানায় তার স্বামী লজ্জায় চিকিৎসা নিতে চান না। তবে ডাক্তারগণ বলেছেন, কিছু কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে চিন্তার কোনও কারণ নেই। তাই অযথা দুশ্চিন্তায় করা মানেই যৌন জীবনটাকেই নষ্ট করে দেওয়া।। সেই সমস্যাগুলি কী কী , আসুন জেনে নেওয়া যাক।১. সঙ্গমের সময় স্ত্রীর অর্গাজম হচ্ছে নাঃ এতে চিন্তার কিছু নেই। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৭৫ শতাংশ নারীরই সঙ্গমের সময় সর্বদা অর্গাজম হয় না। এতোএব ওই সব তথাকথিত ‘মিথ’ নিয়ে না-ভেবে শুধু যৌনজীবনকে উপভোগ করাই ভালো।২. শারীরিক সমস্যাঃ কিছু শারীরিক সমস্যার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। তবে কিছু শারীরিক সমস্যায় আসলে কোনও সমস্যাই নয়। যেমন, যৌনাঙ্গেরকাছে কিছুটা মেদের জন্য চামড়া কুঁচকে যাওয়া বা মেদের জন্য তৈরি হওয়া খাঁজ। এসব বিষয়ে একেবারেই ভাববেন না। কারণ, ডাক্তাররা বলেছেন, চরম মুহূর্তে সঙ্গী বা সঙ্গিনী আপনার মেদজনীত খাঁজ নিয়েআদৌ মাথা ঘামায় না।৩. যৌনাঙ্গের রূপঃ সমীক্ষায় দেখাগিয়েছে, নারীরা তাদের যোনি নিয়ে অযথা কিছু দুশ্চিন্তা কাজ করে। যেমন, যোনি কেন কালো হয়, কেনো যোনিকে পর্নস্টারদের মতো বানানো যাচ্ছে না। আসলে যৌনাঙ্গের রূপ নিয়ে ভাবাটাই বোকামি। কারণ, নারীরযোনি প্রাকৃতিক ভাবেই এমন আকার বা আকৃতিতে তৈরি হয়, যা পুরুষকে আকৃষ্ট করবেই।৪. শারীরিক সম্পর্ক কমে আসতেছেঃ আগে সপ্তাহে অনেকবার মিলন হতো। কিন্তু তা এখন কমে গিয়েছে। এই চিন্তাও অনেককে দম্পতিকে কুড়ে খায়। চিকিত্‌সকরা বলেছেন, এতে চিন্তার কিছু নেই। যৌন মিলন কমে যাওয়ার অনেক কারণের মধ্যে অন্যতমকারণ হল কাজের চাপ। চিকিত্‌সকরা বলছেন, দু’জনে একে অপরকে সময় দিন। উত্তেজক কথাবার্তা বলুন। কীভাবে নতুনত্ব উপায়ে যৌনতাকে আরও উপভোগকরা যায়, সে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলুন। তাহলেই সমস্যাটা মিটে যাবে।৫. যথেষ্ট উত্তেজিত ননঃএক সমীক্ষায় তথ্য পাওয়া গেছে, যৌন মিলনের পর অনেক নারী-পুরুষই অনর্থক একটি চিন্তা করেন। আমি তাকে তৃপ্ত করতে পারলাম তো? আমার শরীরটা উপভোগ্য তো? আরে ধুর…! মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, যতক্ষণ না আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী কোনও অভিযোগ করছেন, ততক্ষণ এই নিয়ে একেবারে ভাববেন না। সকলেই তো আর পর্নস্টারের মতো হন না। আরে ভাই, যৌন মিলনটা তো কোনও পরীক্ষা নয় যে,দুশ্চিন্তা নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করে পরীক্ষায় পাস করতেইহবে। শুধু উপভোগ করলেই তো সব ঝামেলা মিটে যায়!এই লেখায় পর্ণস্টারের কথা বলা হলো কেন? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, বর্তমান স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের যুগে পর্ণ ভিডিও’র সাথে কম-বেশ সবাই পরিচিত। পর্ণ ভিডিও দেখার পাঠকদের মধ্যে অনেক নারী পুরুষ অভিযোগ করে থাকেন, তার স্ত্রী পর্ণস্টারের মতো কাজ করে না আবার অনেক নারী অভিযোগ করেন তার স্বামী পর্ণস্টারের মতো তাঁকে তৃপ্তি করতে সক্ষম নন। আমার এক ডাক্তার বন্ধু সাব্বীর রহমানের কাছেও এরকম ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়েও অনেকে আসেন। যারা পর্ণ ভিডিওতে যা দেখেন সেসব তাঁরা বাস্তব মনে করেন, কিন্তু সত্য হচ্ছে এই যে, এসব হচ্ছে তাদেরনিখুত অভিনয়। আর তাদের চাকচিক্যময় যৌনাঙ্গ হচ্ছে মেকাপ করার ফসল। যারা পর্ণ ভিডিও’র ভিতরের আসল সত্যিটা জানেন না বলে এতে অনেকেই কাবু হয়ে যান এবং নিজেদেরকে দোষারূপ করতে থাকেন। আপনি যদি বলিউডের ছবি দেখে থাকেন, তাহলে অবশ্যই সিনেমাতে তাদের অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখে মুগ্ধ হয়েথাকবেন। কিন্তু আপনি কি কখনো তাদের বাস্তবরূপ দেখেছেন? না দেখে থাকলে তাহলেবলিউড নায়িকাদের আসল চেহারাদেখে নিন এবংযৌন ভিডিও ও বাস্তবতাএই লেখাটিও একটু সময় নিয়ে পড়ে আসুন। এবং আপনি যদি বিশেষ মুহুর্তের দুর্বলতা অনুভব করে থাকেন তাহলে প্রাকৃতিক চিকিৎসক ডাক্তার মনিরুজ্জামান এম.ডি স্যারের সাহায্য নিন। কথা বলুন 01707330660 এ যেকোন সময়। নারী পুরুষের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধান করাই আমাদের স্যারের কাজ।

Total Pageviews