নবিজীরর কয়েকটি মহামুল্যবান বানী।।

নবিজীরর কয়েকটি মহামুল্যবান বানী।।




♥♥আসসালামু আলাইকুম♥♥
♥সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আর আপনাদের দোয়ায় আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

পোস্টের বিষয়ঃ
আবারও একটি ইসলামিক পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মহামূল্যবান বাণী :
দীনঃ
দীন খুব সহজ [সহীহ বুখারী)
ব্যাখ্যা :দীন মানে – জীবন যাপন পদ্ধতি।
এখানো দীন মানে দীন ইসলাম। অর্থাৎ ইসলামের জীবন যাপন পদ্ধতি খুব

দীন হলো – কল্যাণ কামনা। (সহীহ মুসলিম)
নোট : দীন ইসলামের মূল কথা হলো, নিজের এবং সকল মানুষের দুনিয়াবী ও পরকালীন কল্যাণ চাওয়া।
আল্লাহ যার ভালো চান, তাকে দীনের সঠিক জ্ঞান দান করেন। (সহীহ বুখারী)
আল্লাহর ভয়ঃ
জ্ঞানের মাথা হলো আল্লাহকে ভয় করা। (মিশকাত)
ব্যাখ্যা : অর্থাৎ যে আল্লাহকে ভয় করে সে – ই সবচেয়ে বড় জ্ঞানী।
.আল্লাহকে ভয় করো, তাতেই সবচেয়ে বড় ইবাদতকারী হতে পারবে।(মিশকাত)
একজনের উপর আরেকজনের কোনো মর্যাদা নেই। তবে আছে আল্লাহ ভীতি ভিত্তির। (তিবরানী)
সে ব্যক্তি দোযখে প্রবেশ করবেনা, যে আল্লাহর ভয়ে কাঁদে। (তিরমিযী)
শ্রেষ্ঠ আমলঃ
শ্রেষ্ঠ আমল হলো, আল্লাহর জন্যে ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যে ঘৃণা করা। (আবু দাউদ)
বিশ্বস্ততাঃ
.যার মধ্যে আমানত নেই তার ঈমান নেই। (মিশকাত)
শব্দার্থ : আমানত মানে – বিশ্বস্ততা, বিশ্বাসযোগ্যতা।
.যে অংগীকার রক্ষা করেনা, তার ধর্ম নেই। (মিশকাত)
দুনিয়ার জীবনঃ
দুনিয়া মুমিনের জন্যে কারাগার আর কাফিরের বেহেশত। (সহীহ মুসলিম)
.দুনিয়াতে এমন ভাবে জীবন যাপন করো যেনো তুমি একজন গরীব কিংবা পথিক। (সহীহ বুখারী)
অনাড়ম্বর জীবন যাপন ঈমানের অংশ। (আবু দাউদ)
মসজিদঃ
পৃথিবীতে মসজিদগুলোই আল্লাহর সবচাইতে প্রিয় জায়গা। (সহীহ মুসলিম)
.আমার জন্যে গোটা পৃথিবীকেই সিজদার জায়গা এবং পবিত্র করে দেয়া হয়েছে। (সহীহ বুখারী)
যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ বানায়, আল্লাহ জান্নাতে তার জন্যে একটি ঘর বানায়। (সহীহ বুখারী)
মুয়াজ্জিনঃ
.কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনের ঘাড় সবচেয়ে লম্বা উঁচু হবে। (সহীহ মুসলিম)
নিজের জন্যে পরের জন্যেঃ
.নিজের জন্যে যা পছন্দ করো, অন্যদের জন্যেও তাই পছন্দ করবে, তবেই হতে পারবে মুমিন। (সহীহ মুসলিম)
তোমাদের কেউ মুমিন হবেনা, যতোক্ষণ সে নিজের জন্যে যা পছন্দ করে, তার ভাইয়ের জন্যেও তাই পছন্দ না করবে। (সহীহ বুখারী)
আল্লাহই যথেষ্টঃ
যে আল্লাহর উপর ভরসা করে, তার জন্যে আল্লাহই যথেষ্ট। (ইবনে মাজাহ)
জ্ঞানীঃ
.জ্ঞানীরা নবীদের উত্তরাধিকারী। (তিরমিযী)
জ্ঞানবান আর দুনিয়াদার সমান নয়। (দারেমী)
সবচেয়ে মন্দ লোক জ্ঞানীদের মধ্যে যারা মন্দ তারা, আর সবচেয়ে ভালো লোক জ্ঞানীদের মধ্যে যারা ভালো তারা। (দারমী)
প্রতিটি জ্ঞান তার বাহকের জন্যে বিপদের কারণ, তবে যে সে অনুযায়ী আমল (কাজ) করে তার জন্যে নয়। (তাবরানী)
শিক্ষকঃ
আমি প্রেরিত হয়েছি শিক্ষক হিসেবে। (মিশকাত)
শিক্ষাদান করো এবং সহজ করে শিখাও। (আদাবুল মুফরাদ)
সুধারণা কুধারণাঃ
সুধারণা করা একটি ইবাদত। (আহমদ)
.অনুমান ও কুধারণা করা থেকে বিরত থাকো, কেননা অনুমান হলো বড় মিথ্যা কথা। (সহীহ বুখারী)
যুলমঃ
.যুলম করা থেকে বিরত থাকা। কেননা, কিয়ামতের দিন যুলম অন্ধকারের রূপ নেবে। (সহীহ মুসলিম)
.মযলুমের ফরিয়াদ থেকে আত্মরক্ষা করো। (সহীহ বুখারী)
ভ্রাতৃত্বঃ
.মুমিন মুনিনের ভাই। (মিশকাত)
.মুসলমান মুসলমানের ভাই। (সহীহ বুখারী)
নোট : এ দুটি হাদীসে ঈমান এবং ইসলামকে ভ্রাতৃত্বের ভিত্তি বলা হয়েছে।
ভ্রাতৃত্বের দায়িত্বঃ
.মুমিন মুমিনের আয়না। (মিশকাত)
শিক্ষা : আয়না যেমন ময়লা দূর করতে এবং সাজ সৌন্দর্য গ্রহণ করতে সাহায্য করে, তেমনি একজন মুমিনের কর্তব্য তার মুমিন ভাইয়ের দোষ ত্রুটি দূর ও সুন্দর গুণাবলী অর্জন করার কাজে সাহায্য করা।
.মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ভাইয়ের প্রতি যুলম করেনা এবং তাকে অপমানিতও করেনা। (সহীহ মুসলিম)
.মুমিন মুমিনের সাথে প্রাচীরের গাঁথুনির মতে মজবুত সম্পর্ক রাখে। (সহীহ বুখারী)
.মুমিন ছাড়া অন্যকে সাথী বন্ধু বানাবেনা। (মিশকাত)
সুকৃতি দুস্কৃতিঃ
যে ভালো কাজের আদেশ করেনা এবং মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করেনা, সে আমার লোক নয়। (তিরমিযী)
বিনয়ঃ
.যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনয়ী হয়, আল্লাহ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। (মিশকাত)
বিশ্বাস ভংগ করাঃ
যে তোমার সাথে বিশ্বাস ভংগ করেছে, তুমি তার সাথে বিশ্বাস ভংগ করোনা। [তিরমিযী)
আনুগত্য ও নেতৃত্বঃ
যে নেতার আনুগত্য করলো, সে আমারই আনুগত্য করলো। (সহীহ বুখারী)
.যে নেতার অবাধ্য হলো সে আমার অবাধ্য হলো। (সহীহ বুখারী)
যে আল্লাহর অবাধ্য হয়, তার আনুগত্য করা যাবেনা। (কানযুল উম্মাল)
কারো এমন হুকুম মানা যাবেনা, যাতে আল্লাহর হুকুম অমান্য করতে হয়। (সহীহ মুসলিম)
যে নেতা হয়, তাকে সবার চেয়ে দীর্ঘ হিসাব চেয়ে দীর্ঘ হিসাব দিতে হবে। (কানযুল উম্মাল)
দানঃ
দান হচ্ছে একটি প্রমাণ। (সহীহ মুসলিম)যে আল্লাহর পথে একটি দান করে, আল্লাহ তার জন্যে সাতশ ; গুণ লিখে দেন। (তিরমিযী)
দান সম্পদ কমায়না। (তিবরানী)
ভালো ব্যবহারঃ
যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেনো উত্তম কথা বলে। (সহীহ বুখারী)
তোমার ভাইয়ের দিকে হাসি মুখে তাকানো একটি দান।(তিরমিযী)
যে মানুষের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনা, সে আল্লাহরও কৃতজ্ঞ হয়না। (আবু দাউদ)

Total Pageviews