Home »
যৌন বিষয়ক টিপস
» যৌনতার যে ৩টি দিক আপনি জানতে চান না
যৌনতার যে ৩টি দিক আপনি জানতে চান না
সেক্স সম্পর্কিত অনেক বিষয় আছে যা আমরা জানি না,আবার অনেক বিষয় আছে যা স্বেচ্ছায় জানতে চাই না বাএড়িয়ে চলি। কিন্তু আমরা জানতে না চাইলেও এগুলি সত্যিএবং স্বাভাবিক। ভয় বা অস্বস্তির কোন কারণ নেই।জৈবিক নিয়মেই আমরা এইসব অনুভূতি দ্বারা পরিচালিতহই।মেডেলাইন এ. ফাগের, পি.এইচ.ডি, ইস্টার্ণ কানেক্টিসুটস্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক বিভিন্নগবেষণার ফলাফল নিয়ে একটি স্টাডি করেন। তিনি তারবিশ্বাবিদ্যালয়ে সামাজিক মনোবিজ্ঞান, পরিসংখ্যান,গবেষণার তত্ত্ব এবং আকর্ষণ ও রোমান্টিক সম্পর্কের উপরশিক্ষা দেন। তার গবেষণায় উঠে এসেছে যৌনতা সম্পর্কিত ৩ টি অদ্ভুত কিন্তু স্বাভাবিক বিষয় যা আমরা জানতে চাইনা।বিপরীত লিঙ্গ মাত্রই উত্তেজিত করতে পারেফ্রয়েডের অডিপাস কমপ্লেক্স ১ যারা পড়েছেন তারা সবাইএই তত্ত্বের সাথে পরিচিত যে বিপরীত লিঙ্গমাত্রইআকর্ষণ তৈরি করে এমনকি তা হতে পারে বাবা-মায়েরপ্রতিও! যদিও অধিকাংশ মানুষ মনে করেন তারা তাদেরবাবা-মায়ের প্রতি কোন আকর্ষণ বোধ করেন না। হ্যাঁ, হয়ত আমরা বাবা মায়ের প্রতি যৌন আকর্ষণবোধ করি না কিন্তুগবেষণায় দেখা গেছে, কিন্তু আমরা মানসিকভাবে বেশীঘনিষ্ঠবোধ করি।খেয়াল করলেই আমরা দেখব, পরিবারে মেয়ে শিশুটিবাবার বেশী আদরের হয়। মায়ের দূর্বলতা বেশী থাকেতার ছেলে সন্তানের উপর। অনেক সময় দেখা যায়, ছেলেবাবাকে ঈর্ষা করে মায়ের সাথে ঘনিষ্ঠতার জন্য বাঅনিরাপত্তায় ভোগে, ভাবে মা তাকে কমভালবাসে। এইঈর্ষা, অনিরাপত্তা তীব্র আকর্ষণের ফল। মা-মেয়ের ঘনিষ্ঠতা বা বাবা-ছেলের বন্ধুত্বও দেখা যায় অনেকপরিবারে। অবাক হবার কিছু নেই। কিন্তু অধিকাংশগবেষণার ফলাফলে বিপরীত দিকটিই উঠে এসেছে।এমনকি দেখা যায়, ছেলেরা বিয়ে করারসময় প্রেমিকা বাহবু স্ত্রীর মাঝে মায়ের প্রতিচ্ছবি খোঁজে। তারা আশাকরে, তাদের স্ত্রী মায়ের মতোই যত্নশীল, স্নেহপ্রবণ হবেএবং নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসবে। অপরদিকে মেয়েরা হবুবরের মাঝে খোঁজে বাবার ছায়া। বাবার মত নির্ভরতা,ভরসা দিতে পারবে যে মানুষটি তাকেই তারা বেছে নেয় জীবনসঙ্গী হিসেবে।আমাদের পূর্বপুরুষের যৌনাঙ্গের রক্তিম আভার সাথেমিলিয়ে লাল রং আমাদের উত্তেজিত করেগবেষণায় দেখা গেছে, নারী-পুরুষ উভয়েই বিশেষভাবেবেশি আকর্ষণ বোধ করি যখন বিপরীত লিঙ্গের মানুষটিলাল রঙ এর পোশাক পড়ে। কেন এটা হয়? লাল রঙ পুরুষদেরজন্য শারীরিক উত্তেজনা, যৌন উত্তেজনা এবং সামাজিক উচ্চাবস্থা প্রকাশক রঙ। লাল রঙ এর এই আকর্ষণ ক্ষমতাকেআমরা সাংস্কৃতিকভাবেও স্বীকার করি। এক্ষেত্রে আমরাক্রাইস ডি বার্গের ‘লেডি ইন রেড’ গানটির কথা মনেকরতে পারি। গবেষণায় দেখা গেছে, লালরঙ এর প্রতিআমাদের আকর্ষণের কারণ লুকিয়ে আছে বিবর্তনেরইতিহাসে।স্ত্রী বেবুন আর শিম্পাঞ্জিরা নিজেদের উর্বরতার সময়বুকে, মুখে এবং যৌনাঙ্গে লাল আভা ফুটিয়ে তোলে। মানুষেরমস্তিষ্কেও পূর্বপুরুষদের এই লাল আভা ফুটিয়ে তোলারব্যাপারটি কাজ করে। ফলে লাল পোশাক পরিহিতা নারীএকজন পুরুষকে উত্তেজিত করে।যৌন উত্তেজনার সময় বিশ্রী সব উদ্দীপনাকে প্রশ্রয় দেয়মানুষগবেষণায় দেখা গেছে, নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে যৌনউত্তেজনার সময় বিশ্রী কিছু উদ্দীপনা দেখা দেয়, যাতারা বুঝতে পারে না বা বুঝতে পারলেওখারাপ মনে করেনা। একজন পুরুষ যখন কোন যৌন উত্তেজনামূলক ছবি দেখে উত্তেজিত বোধ করে তখন সে মানসিকভাবে অনেক রকমভাবনায় জড়িয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, এসময়েঅনেক পুরুষই এমন কাজ করে বসেন যা তাঁরা স্বাভাবিকভাবে করেন না। নারীরাও একই ভাবে এধরণের নোংরাএবং উদ্ভট কাজ করে বসে যা তারা খেয়ালও করে না বরংউত্তেজণা প্রশমনের উপায় বলে বোধ করে।