শিক্ষার্থী, আজ তোমাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র থেকে ব্যাকরণ নিয়ে আলোচনা করা হল।
অল্পপ্রাণ স্বরবর্ণ ৫টি অ ই উ এ ও
মহাপ্রাণ স্বরবর্ণ ৫টি আ ঈ ঊ ঐ ঔ
অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনবর্ণ ২৪টি ক গ ঙ/চ জ ঞ/ট ড ণ/ত দ ন/প ব ম/য র ল শ/ষ স ড় য়/ঃ (উচ্চারণ-বর্ণ+অ)
মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনবর্ণ ১১টি
খ ঘ/ছ ঝ/ঠ ঢ/থ ধ/ফ ভ ঢ় (উচ্চারণ-বর্ণ+অহ)
পূর্ণমাত্রা স্বরবর্ণ ৬টি অ আ/ই ঈ/উ ঊ
মাত্রাহীন স্বরবর্ণ ৪টি এ ঐ ও ঔ
মৌলিক স্বরবর্ণ ৮টি অ আ/ই ঈ/উ ঊ/এ ও
মৌলিক স্বরবর্ণ ২টি ঐ (অ/ও+ই),
ঔ (অ/ও+উ)
পূর্ণমাত্রার ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬টি
ক ঘ/চ ছ জ ঝ/ট ঠ ড ঢ/ত দ ন/ফ ব ভ ম/য র ল ষ/স হ ড় ঢ় য়
অর্ধমাত্রার ব্যঞ্জনবর্ণ ৭টি
খ গ ণ থ ধ প শ
মাত্রাহীন ব্যঞ্জনবর্ণ ৬টি ঙ ঞ : ঁ ৎ ং
আশ্রিত বর্ণ ৩টি ং : ঁ
নাসিক্য বর্ণ/অনুনাসিক ৭টি
ঙ, ঞ, ণ, ন, ম, : ঁ
দ্বিস্বর/যৌগিক স্বর ২৫টি
অই, অউ, অয়, অও, আই, আউ, আয়, আও, ই, ,ি ইউ, ইয়, ,ে ইও, উই, উয়া, এয়া, এই, এও, ওও
যৌগিক স্বরজ্ঞাপক বর্ণ ২টি ঐ ঔ
স্পর্শ ব্যঞ্জন ২৫টি ক-ম পর্যন্ত্ম
উষ্মধ্বনি/শিসধ্বনি ৪টি শ, ষ, স, হ
স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ (কার)
কার : স্বরবর্ণের এবং কতগুলো ব্যঞ্জনবর্ণের দুটি রূপ রয়েছে। স্বরবর্ণ যখন নিরপেক্ষ বা স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয় অর্থাৎ কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় না তখন এর পূর্ণরূপ লেখা হয়। একে বলা হয় প্রাথমিক বা পূর্ণরূপ। যেমন- অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ।
এই রূপ বা ভড়ৎস শব্দের আদি, মধ্য, অন্ত্ম- যে কোনো অবস্থানে বসতে পারে। স্বরধ্বনি যখন ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়ে উচ্চারিত হয় তখন সে স্বরধ্বনিটির বর্ণ সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হয়। স্বরবর্ণের এই সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয় সংক্ষিপ্ত স্বর বা 'কার'। যেমন- 'আ'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ (া)। 'ম'-এর সঙ্গে 'আ'-এর সংক্ষিপ্ত রূপ 'া' যুক্ত হয়ে হয় 'মা'। বানান করার সময় বলা হয় ম-এ আ-কার (মা)। স্বরবর্ণের নামানুসারে এদের নামকরণ করা হয়। যেমন-
আ-কার া ই-কার ি ঈ-কার ী উ-কার ু ঊ-কার ূ
ঋ-কার ৃ এ-কার ে ঐ-কার ৈ ও-কার -ো ঔ-কার -ৌ
অ-এর কোনো সংক্ষিপ্ত রূপ বা 'কার' নেই।
* এ/ঐ/ও/ঔ-কার শব্দের আগে যুক্ত হলে মাত্রাহীন হয় কিন্তু মাঝে যুক্ত হলে মাত্রাযুক্ত হয়। যেমন- সে/সঙ্গে, মৈ/ মতৈক্য, কোল/কলোস, মৌ/অপকৌশল
স্বর কার ব্যঞ্জনবর্ণের যেখানে যুক্ত হয়-
ব্যঞ্জনবর্ণের পরে যুক্ত হয় : আ-কার, ঈ-কার। যেমন- মা, মী