টেস্টি স্যালাইন বেশি খেলে কি কোন সমস্যা আছে ?

‘টেস্টি স্যালাইন’ প্রস্তুতকারী
প্রতিষ্ঠানগুলো ওষুধ প্রশাসন
অধিদফতরের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটির অনুমোদন ছাড়াই এ পণ্য তৈরি করছে। তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডও মানছে না। বিএসটিআইয়ের স্যালাইন অনুমোদন দেওয়ার ক্ষমতা
নেই। তারা স্যালাইনের মানদণ্ড
নির্ণয়ও করতে পারে না। এমন এক অবস্থায় টেস্টি স্যালাইন বাজারজাতচলছে। মানুষ চটকদার কথার প্রলোভনে
পড়ে নির্দ্বিধায় এসব পান করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড
অনুযায়ী, এক প্যাকেট স্যালাইনে
সোডিয়াম ক্লোরাইড ১.৩০ গ্রাম,
পটাসিয়াম ক্লোরাইড ০.৭৫ গ্রাম,
ট্রাইসোডিয়াম সাইট্রেট ১.৪৫ গ্রাম ও গ্লুকোজ অ্যানহাইড্রাস ৬.৭৫ গ্রাম থাকতে হবে। কিন্তু বাজারে বিক্রি হওয়া কথিত টেস্টি
স্যালাইনগুলোর প্যাকেটের গায়ে লেখা উপাদান ও পরিমাণের কোনো মিল নেই। প্যাকেটের গায়ে লেখা পরিমাণ হু’র মানদণ্ডের অনেক কম। এমনকি এক
প্রতিষ্ঠানের স্যালাইনের সঙ্গে মিল
নেই অন্যগুলোর উল্লিখিত
উপাদানেরও।
তাই , টেষ্টি স্যালাইন স্বাভাবিক মাত্রায় খাওয়া ভালো। অন্যদিকে খুব বেশি খেলে এসব স্যালাইন পানি ঘাটতি পূরণের পরিবর্তে শরীর থেকে পানি বের করে এনে শরীরকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে। অর্থাত্ এ ধরনের স্যালাইনে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।

Total Pageviews