ক্যান্সারের নিশিকাব্য(কাল্প নিক)------পার্ট -১

------ গল্পঃ- ক্যান্সারের নিশিকাব্য(কাল্প
নিক)------পার্ট -১
লেখকঃমেঘ বালক(চুপচাপ ছেলেটি)
দিন দিন রোগটা বেড়েই চলছে।সব কিছু যেনো নিস্তব্দ হয়ে যাচ্ছে।কিছুই ভালো লাগছে।
ওহফ! মাথাটা প্রচন্ড ব্যাথা করছে।কোনো রকমে এলিয়ে থাকা দেহটা-কে নিয়ে বাহির হলাম।আমার এমন লাগছে কেনো!কিছুই তো বুঝতে পারছি না।কিছু দুর গিয়ে একটা ছেলেকে দেখতে পেলাম,চিনা চিনা লাগছে মনে হয়...
-কিরে তুই অপু না!! (আমি)
-হ্যাঁ, আমি অপু,কিন্তু তুই আমাকে এভাবে বলছিস কেনো!(অপু)
-নারে দোস্ত এমনিই বললাম,(আমি)
-না না, তর কিছু একটা হয়েছে(অপু)
-আরে না,এমনি বললাম।(আমি)
-আচ্ছা এখন যায়রে,একটা কাজ আছে(অপু)
চলে গেলো অপু।আবার হাটা শুরু করলাম।নাহ মাথা ব্যাথাটা প্রচন্ড বেড়েই চলছে।ঔষধ খাবো কিনা চিন্তা করছি, আল্লাহর দুনিয়ায় ঔষধ হচ্ছে একটা ওছিলা।কেউ ভালো হয় আবার কেউ চলে যায়।তা না হলে আমার অসুখটা কবেই কেটে যেতো।কথা গুলো ভাবতে ভাবতে আদনান সাহেবের দোকানে আসলাম মানে ফার্মেসির দোকানে।
-আরে ইব্রাহিম অনেক দিন পর আসলে যে (ডাক্তার)
-আদনান ভাই রোগটা দিন দিন বেড়েই চলছে, সব কিছু অসস্তিকর লাগছে(আমি)
-দেখি মাথাটা,এই কিরে তর তো প্রচন্ড জ্বর(ডাক্তার)
-আদনান ভাই এটা কিছু না,আপনি ঔষধ দেন,দেখি রোগটা কমে কিনা!!(আমি)
-শুনো ইব্রাহিম,তুমি বড় কোনো ডাক্তার দেখাও তাহলে তুমার রোগটা ধরা পড়বে।মনে হয় তুমার বড় ধরনের রোগ হয়েছে(ডাক্তার)
-হা হা হা, আদনান ভাই এটা কিছু না।(আমি)
-এই নাও ঔষধ,সকাল-বিকাল-রাতে একটা করে খেয়ে নিও।(ডাক্তার)
-ধন্যবাদ আদনান ভাই,তাহলে আমি এখন যায়।(আমি)
-আচ্ছা যাও(ডাক্তার)
ওহফ আজকের রৌদ্রটা খুব তীব্র মনে হচ্ছে।দোকান থেকে বের হবার সময় হঠাৎ একটা বিপত্তি কাহিনি ঘটে।আমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম।কিছুক্ষণ পর আমি নিজেকে হাসপাতালে আবিস্কার করেছি।হ্যাঁ কুমিল্লা সদর হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি।
আদনান সাহেব এখানে কি করে! হুম মনে হয় আদনান ভাইয়ে আমাকে এখানে এনেছে।
কিছুক্ষণ পর আদনান সাহেব আমাকে এসে জিগাসা করলো-
-ইব্রাহিম তোমার বাড়ির নাম্বারটা দাও(ডাক্তার)
-আদনান ভাই,আপাদত থাক।পরে না হয় খবর দিবো।
-কিন্তু তোমার তো সব কিছু সিটি স্কেন করতে হবে,এর জন্য টাকাও দরকার(ডাক্তার)
-আচ্ছা,আমি কাল এসে করে নিবো।এখন আপাদত এখান থেকে চলে যাওয়া যাক(আমি)
আদনান ভাই আমার কথা মানতে মোটেও রাজি নন,অনেক বুঝিয়ে হাসপাতাল থেকে বাহির হলাম।
বাসায় এসে নিজ দায়িত্বে শুয়ে পড়লাম।কাউকে কিছু জানালাম না।
প্রিয়২৪.কম
মাঝরাতে উঠে একটা নিকোটিন ধরালাম।
আজ রিদির কথা খুব মনে পড়তেছে।সেদিন মেয়েটা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।যাক বাবা ভালোই করেছে চলে গিয়ে।
এই রোগা ছেলেটা বাঁচবেই বা কয় দিন।রিদি একটা কথা শুনো,তুমি এই হৃদয়ে ছিলে আর থেকেও যাবে।
ভাবতে ভাবতে কখন যে সকাল হয়ে গেলো বুঝতেই পারি নি।নাহ আজকে মেডিকেল চেকআ্যপ করতে হবে।একা একাই গেলাম।
আজ মেডিকেল চেকআ্যপ করলাম।রেসাল্ট বিকেলে দিবে।ডাক্তার সাহেব বলেছে রিপুর্ট ৪.০০ টায় আসবে।
মেডিকেল থেকে বের হয়ে একটু পার্কে গেলাম।দীর্ঘ ২ বছর পর পার্কে গেলাম।সব কিছু উন্নত হয়ে গেছে।কিছুক্ষণ পর একটা পথিক এসে বললো-
-ভাইয়া পেটে প্রচন্ড খিদা লাগছে(পথিক)
-নাম কি তর?(আমি)
-রাহিম
-আচ্ছা, আয় আমার সাথে আয়(আমি)
পেট ভড়িয়ে তাকে খাইয়ে দিলাম।মনে প্রচন্ড একটা শান্তি অনুভব করছি আজ।আসলে পথচারী শিশুদেরকে দেখলে আমার ভড্ড মায়া হয়।
আমার কথা যদি আপনাদের বিশ্বাস না হয়,তাহলে আপনি পথচারী কোনো এক শিশুকে ৫টাকা দিয়েই দেখুন না,তার মুখে একটা উজ্জল হাসি দেখতে পারবেন।আহ!সত্যিই তৃপ্তিকর একটা হাসি ফুটে উঠে।
দেখতে দেখতে বিকাল ঘনিয়ে এলো।মেডিকেলে গেলাম।হ্যাঁ আমার রিপুর্ট এসে পড়েছে।রিপুর্ট টা নিয়ে হ্যাড-ডাক্তারের কাছে গেলাম।ওনি যা বললো আমি তো থমকে গেলাম.....
# বিঃদ্রঃ২য় পর্বের জন্য সাথেই থাকুন,খুব শীগ্রই দেওয়া হবে।

Total Pageviews