ক্যালরির চাহিদা মেটাতে সবচেয়ে সহজলভ্য ফল কলা। ফলটিতে থাকা ক্যালরির পরিমাণ ১০০।
এছাড়াও এতে রয়েছে খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
বাজারে সহজেই পাওয়া যায় নানারকম কলা। পাকার সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হয় কলার রং। যেমন: সবুজ রংয়ের কলা, হলুদ রংয়ের, হালকা দাগযুক্ত কলা। ফলে আমরা প্রায়ই ভেবে থাকি, কোনটি সবচেয স্বাস্থ্যকর কলা।
বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য বিভিন্ন রংয়ের কলার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
কলা পেকে গেলে তার রঙের পরিবর্তন হয়। প্রত্যেক কলারই বিভিন্ন রকম পুষ্টিগুণ রয়েছে। কিন্তু এ নিয়েই আমরা সবচেয়ে বেশি দ্বিধায় পড়ি।
সবুজ রংয়ের কলা
কলার রং সবুজ থাকলে এটি হতে পারে স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। যারা খাবারে চিনি কম খান তাদের জন্য সবুজ রঙের কলা উৎকৃষ্ট।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার কাজ শুরুসবুজ রঙের কলাকে কাচকলাও বলা হয়। এতে প্রো-বায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা আমাদের হজম প্রক্রিয়ার জন্য খুবই ভালো কাজ করে।
হলুদ রংয়ের কলা
অনেকেই এ রঙের কলাকে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে করেন। এ কলা খেতে মিষ্টি ও নরম। সবুজ কলার থেকে হলুদ রংয়ের কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। পাকার সঙ্গে সঙ্গে কলার অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও বেড়ে যায়।
তবে পুষ্টিবিদরা টাইপ-২ ডায়েবেটিকসে আক্রান্তদের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকা এ কলা পরিহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
দাগযুক্ত কলা
যে কলায় যত বেশি দাগ থাকে সে কলায় তত বেশি সুগার থাকে। দাগ থাকা বাদামি জায়গাগুলোতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে।
বাদামি রংয়ের কলা:
কলা খুব বেশি পেকে যাওয়ার পর যখন বাদামি রং ধারণ করে তখন আমরা অনেকেই এটি খাই না। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো বাদামি রঙের এ কলাতেই সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এ ফলকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউসও বলা হয়।
সেরিব্রাল পালসি একটি জীবনব্যাপী সমস্যাএতে সুগারও থাকে অনেক বেশি। এ রঙের কলার ক্ষেত্রে ডায়াবেটিকস আক্রান্তদের সতর্ক থাকতে হবে।