কাহিনী

সার্বিয় সেনাক্যাম্পে ধর্ষিতা সামিরা
তার বড়
আপুর
কাছে চিঠিতে লিখেছিল, "আপু আমি
আর
পারছিনা। ওরা
আমার গর্ভে কাফের সন্তান জন্ম দিতে
চায়। কিন্তু
আমি কোনো খ্রিস্টান সন্তান ভূমিষ্ট
হতে দেবনা।
প্লিজ আপু আমার জন্য গর্ভপাতের ওষুধ
পাঠাও।"
সামিরার কলজে ছোঁয়া আর্তনাদ শুনেও
আমাদের
বিবেক জাগ্রত হয়নি।
ইরাকের আবু গারিব কারাগারে বন্দি নূর
এবং
ফাতিমা যখন
চিৎকার করে বলেছিল, "হে মুজাহিদ
ভাইয়েরা
তোমরা কোথায়?
ওদের প্রতি রাতের অত্যাচার
আর সহ্য করতে পারছিনা।"
তখনও আমাদের বিবেক জাগ্রত হয়নি।
মুসলিম বিশ্বের গৌরব ড.আফিয়া
সিদ্দিকি
মার্কিন কারাগারে
রাতের পর রাত ধর্ষিতা হয়ে তিলে
তিলে নেই
হয়ে গেলেন।
তখনও আমাদের বিবেক জাগ্রত হয়নি।
আজ আরাকান জ্বলছে। ক্রমশ উঁচু হচ্ছে
লাশের
পিরামিড। রোহিঙ্গা মুসলমানের রক্তে
নাফ নদীর
পানি রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে।
তারপরও আরাকান প্রশ্নে আমাদের
বিবেক
জেগে উঠছেনা। জেগে উঠবে
কিভাবে? এত
দুর্বল বিবেক ত আমাদের নয়(?)!!
আজ একজন হাজ্জাজ বিন ইউসুফের খুব
বেশি
প্রয়োজন। দেবলের রাজা দাহির কর্তৃক
মুসলিম
যুবতী নাহিদের মাথার উড়না পদদলিত
হওয়ার
কথা শুনে
হুংকার দিয়ে উঠেছিলেন হাজ্জাজ।
দাম্ভিক
দাহিরের
দাম্ভিকতার জওয়াব দিতে গিয়ে সাথে
সাথে বিন
কাসিমকে ভারত অভিযানে প্রেরণ
করেছিলেন।
পৃথিবীর সর্বত্র মুসলমানরা নির্যাতিত।
কোথায় মুহাম্মদ
বিন কাসিম? কোথায় তারিক বিন
জিয়াদ?
কোথায়
সালাহউদ্দীন আইয়ুবী..?
আজ মায়ানমারের বৌদ্ধরা রোহিঙ্গা
মুসলমানদের
মারতেছে। আমরা সরব হব কোন
যুক্তিতে?
আরে ভাই মুসলমান ত এক নির্জীব চিজ।
এ নিয়ে
এত হৈচৈ এর কি আছে?
আসুন জান্নাতের টিকিট নিশ্চিত করতে
একসাথে সকলে মিলে তাদের বিরুদ্ধে
আন্দোলনে জাপিয়ে পরি।

Last 7 Days Visitors